রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার ৯ বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১৬ সালের ১ জুলাই শুক্রবার রাতে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ও বেদনাদায়ক সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয় এই রেস্টুরেন্টে। বিদেশিসহ মোট ২২ জন নির্মমভাবে নিহত হন, আহত হন অনেকে। ওই রাতের হামলা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর গভীর প্রভাব ফেলে।
নিহতদের মধ্যে ৯ জন ইতালির, ৭ জন জাপানের, ১ জন ভারতের এবং ৩ জন বাংলাদেশি ছিলেন। নিহতদের একজনের দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল। হামলায় প্রতিরোধ করতে গিয়ে প্রাণ হারান বনানী থানার ওসি সালাউদ্দীনসহ পুলিশের দুই সদস্য।
নব্য জেএমবির পাঁচ সন্ত্রাসী ওই রাতে হলি আর্টিজান বেকারিতে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে জিম্মি অবস্থায় থাকা দেশি-বিদেশি নাগরিকদের। পরে সেনাবাহিনীর ‘থান্ডারবোল্ট’ অভিযানে সন্ত্রাসীদের পাঁচজনই নিহত হয়।
ঘটনার দিন রাতে নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় অভিযান চালাতে কিছুটা বিলম্ব হয়। রাতভর এলাকা ঘিরে রেখে প্রস্তুতি শেষে পরদিন সকাল পৌনে ৮টায় যৌথ বাহিনীর কমান্ডো অভিযানে ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
নিহত পাঁচ সন্ত্রাসী হলেন: মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, নিবরাজ ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল।
হামলার দায় স্বীকার করে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস পাঁচ হামলাকারীকে নিজেদের ‘সৈনিক’ দাবি করে।
দীর্ঘ ১২ ঘণ্টার জিম্মি সংকট ও অভিযানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে হৃদয়বিদারক এ সন্ত্রাসী হামলা, যা এখনও জাতিকে নাড়া দিয়ে যায়। আজ এই দিনটিতে শহিদদের স্মরণে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
Mytv Online